ক্রীড়া ডেস্ক
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারত শুরু থেকেই কোহেলী-সূর্য-হার্দিক আর রোহিতের নামে জপনা জপতে ছিল। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে গর্বের অন্ত ছিল না। সেই ভারতের গর্বের ব্যাটিং লাইনকে রাস্তায় নামিয়ে দিল ইংল্যান্ড। আর ভারতের বোলিং নিয়ে যতো অহংকার ছিল তা ইংলিশ ওপেনাদের ১৭০ রানের জুটিতে বাতাসে ভেসে গেছে। ২৪ বল না খেলেই ভারতকে আজ সেমি ১০ উইকেটের হার উপহার দিয়ে চরম লজ্জা দিল ইংল্যান্ড। এর আগে ১০ উইকেটে হারের লজ্জাটা ভারত প্রথম বার পেয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, এবার নিয়ে দ্বিতীয় বার এই লজ্জায় ডুবল ভারত।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় ব্যাটারদের পক্ষে ইংল্যান্ডের বোলিং তোপের মুখে রান জমা করা কঠিন ছিল। যে কারণে ১৩ ওভার পেরিয়ে গেলেও কোহেলীদের পক্ষে শত রান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ১৩ ওভার শেষে স্কোর ছিল ৮০/৩ উইকেট!
কিন্তু মিডল অর্ডারে কোহেলী, ইয়াদ. হার্দিক মিলে শেষ দিকে ঝড়ো বইয়ে দিলেন। শেষ ৭ ওভারে স্কোর চলে যায় ১৬৮/৬! কোহেলী করলেন ৩৯ বলে ফিফটি, এটা কোহেলীর ৩৬তম টি২০ ফিফটি। চারটা বাউন্ডারি আর একটা ছয় দিয়ে ৪০ বলে ৫০ রানে কোহেলী ক্যাচ দিলেও হার্দিক অবিচল ছিলেন।
১৯.৬ ওভারে গিয়ে ৩৩ বলে ৬৩ রানে হিট আউট হলেন। তবে এর আগেই হার্দিক নিজের টি২০ ক্যারিয়ারে ৩য় ফিফটি আদায় করেছেন ২৯ বলে। সেরা বোলারের দৌড়ে থাকা কুরান আজ কোন উইকেট পেলেন না। কিস্তু জর্ডান ৪৩ রানে নিলেন ৩ উইকেট।
১৬৯ রানের জবাবে ইংলিশ ওপেনিংজুটি যা করেছে তাতে ভারতের ফাইনালে যাবার স্বপ্ন প্রথম ৫ ওভারেই শেষ হয়ে যায়। ভারত ১৩ ওভারে ৮০ রানে, সেখানে ইংল্যান্ড ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৫২ আর ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৪! তাতে অ্যালেক্সের টি২০ ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি আসে ২৯ বলে। আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক জজ বাটলার ৩৪ রানে ব্যাট করছেন। ১০ ওভারে যখন বিনা উইকেটে ইংলিশরা ৯৮ জমা করে ফেলেছে তখন তো ভারত আর ফাইনালে স্বপ্নটা কল্পনাও করেনি।
ফাইনালের টিকিট পেতে ১৬৯ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ওপেনিং জুটি তো ১৫২ রানই জমা করে ফেলে ১৪ ওভারেই! বাটলার ৭০ রানে আর অ্যালেক্স ৮০ রানে নিজের টি২০ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির আশায় রয়েছেন। ৩৬ বলে ১৫ রান দরকার, হাতে ১০টি উইকেট! মনে হচ্ছিল বিমানের সীট ভারতীয়দের জন্য অপেক্ষা করছে। ১৬তম ওভারে আসে বাউন্ডারি, তাতে আসে ফাইনালের টিকিট।
১৬ ওভারেই দুই ইংলিশ ওপেনার খেলা শেষ করে দিলেন। বাটলার ৮০ আর অ্যালেক্স ৮৬ রানে অপরাজিত!